লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি: লালমোহনে আদালতকে অবমাননা করে প্রতিপক্ষের বাগানের সুপারি পারার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়ন ৮ নং ওয়ার্ডে গত ১৯ সেপ্টেমর এ ঘটনা ঘটে।
ভোক্তভূগী মো.ছোবাহান,জরিনা বেগম,আমেনা বেগম,নাহার অভিযোগ করে জানান, পশ্চিম চরউমেদ মৌজা তৌজি নং ৩০ এ আমাদের দাদা একাব্বর হাওলাদার ও এলাহি বক্স হাওলাদার এর ওয়ারিশি সম্পত্তি পিএস খতিয়ান নং ৫৯ এর বিভিন্ন দাগের জমি যার আরএস খতিয়ান নং ২৭৫ মোট জমির পরিমান ৬ একর তিন শতাংশ এবং খতিয়ান নং পিএস ১৬৮ দাগ নং ১০৩১ আরএস খতিয়ান নং ৩৯৪ দাগ নং ১০৩১ এস এ খতিয়ান নং ৪৭৯ দাগ নং ১০৩১ জমির পরিমান ৩ একর ১৬ শতাংশ তাতে সব মিলে ৯ একর ১৯ শতাংশ জমি। উক্ত জমি বাড়ি বাগান সকল কিছুর ওয়ারিশি মালিক আমরা গত কয়েক বছর আগে ইদ্রিস গাজি,বচ্চু,আলমগীর,আক্তার,যুবায়ের,ফরিদ,সজিব,জুলাশ,মাহি আলম,শান্ত এরা আমাদের বাড়িতে জবর দখল করে ঘর তুলে এবং আমার গরিব মানুষ জীবিকা নির্বাহের তাগিদে চট্রগ্রাম যাই পরে বাড়িতে আসার পর এরা আমাদেরকে আর বাড়িতে উঠতে না দেওয়ায় আমরা সরকারি আবাসনে ঘর করে থাকি।এ নিয়ে অনেকবার শালিসি বিচার হলে প্রতিপক্ষ ইদ্রিস গংরা কোনো কাগজ পত্র দেখাতে পারনি।আমরা আদলতে একটি দেওয়ানি মামলা করি যার মামলা নং ৮৫/১৮ সে মামলাতেও তারা কোনো কাগজ পত্র শো করতে পারেনি।কয়েকবার আদালত থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি করে কিন্তু এদের জনবল ও টাকার কাছে আমরা অসহায়।গত ২৩-৮-২০২৪ ইং তারিখে আমাদেরকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে আমরা লালমোহন ও ঢাকা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছি।এখনও আমাদেরকে মারধর ও জীবন নাশের হুমকি দিয়ে আসছে।তবে এদের একটি মহৎ গুন আছে শালিশির মধ্যে আমাদের কাগজ পত্র দেখে দাগ খতিয়ান নম্বর নিয়ে বিভিন্ন ভুয়া দলিল সৃস্টি করে সে দলিল দিয়ে জমি দাবি করে তাদের নামে পর্চা করে নেয়।গত কাল ১৯ সেপ্টেম্বর সন্ধায় চুরি করে আমাদের বাগান থকে সুপারি পারে এবং আমাদের বাগান পরিস্কার করে দখলের চেষ্টা করে আসছে। বিলের জমি সব চাষাবাদ বন্ধ আছে।
আমরা গরিব দুর্বল অসহায় মানুষ সর্ব মহলের কাছে এর ন্যায় বিচার দাবি করছি।
অপর দিকে অভিযুক্ত ইদ্রিস’র ছেলে গিয়াসউদ্দিন সোবাহান গংদের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তারা আমাদেরকে বিভিন্ন ধরনের হয়রানি করে আসছে।