লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি:
ভোলার লালমোহন থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আন্তজেলা গরুচোর, ডাকাত ও ছিনতাই চক্রের ১১জনকে আটক করেছে। এসময় চোরাইকৃত ৫টি গরু উদ্ধার করা হয়। আজ শনিবার সকালে আটককৃত ১১ জনকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
শনিবার সকালে লালমোহন থানায় এ ব্যাপারে প্রেস ব্রিফিং করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (লালমোহন সার্কেল) মো. বাবুল আক্তার। এসময় লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সিরাজুল ইসলাম ও এসআই মো. আবু ইউসুফ উপস্থিত ছিলেন।
প্রেস ব্রিফিং এ মো. বাবুল আক্তার জানান, গত ২মার্চ দিবাগত রাতে লালমোহন উপজেলার চরকচুয়াখালী থেকে মো. জাকির মাঝির ও তার আত্নীয়ের গরুর খোয়ার থেকে ১৬টি গরু লুটকরে নিয়ে যায় ডাকাত দল। ৩ মার্চ জাকির মাঝি লালমোহন থানায় ৩৭৯ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা পরবর্তীতে লালমোহন সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ওসি ও অন্যান্য অফিসার ফোর্সগণ তথ্য প্রযুক্তি ও বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে বরিশাল শহর, পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার মাঝেরচর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মূল অপরাধী চক্রের সক্রিয় সদস্য মো. নুরু গাজী (৪৫), জুয়েল মৃধা (৩০), মাঈনুদ্দিন প্যাদা (৩০), আবুল হাশেম (৪০), আবু তাহের (৪৭) দের আটক করে। তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক বাদীর এজাহারে বর্নিত ০৫ টি গরু ৭মার্চ বাউফল উপজেলার মাঝের চরের সাহাবুদ্দিন মেম্বারের খোয়ার হতে সহযোগি অপরাধী নিজাম (৪২), মাজাহারুল হাওলাদার (৩৪), ইসমাত হোসেন (১৯), রেজাউল সরদার (৪৫), জাকির হাওলাদার (৫২), তোফাজ্জল ফরাজী (৫৫) দের থেকে উদ্ধার করা হয়। মো. বাবুল আক্তার জানান আরো জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সকলে আন্তঃজেলা গরুচোর, ডাকাত, ছিনতাই দলের সক্রিয় সদস্য বলে স্বীকার করেছেন
ছবির ক্যাপশন: ১,আন্তজেলা গরুচোর, ডাকাত ও ছিনতাই চক্রের আটককৃত ১১জন।
২প্রেস ব্রিফিং করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (লালমোহন সার্কেল) মো. বাবুল আক্তার।